বাসা-বাড়িতে তৈরি ফাস্টফুড ভ্যাটের আওতার আনার দাবি


MD Nuruzzaman প্রকাশের সময় : মার্চ ৩১, ২০২৩, ৫:৩৩ পূর্বাহ্ন /
বাসা-বাড়িতে তৈরি ফাস্টফুড ভ্যাটের আওতার আনার দাবি

 

 

বাসা-বাড়িতে তৈরি ফাস্টফুড পণ্য ভ্যাটের আওতার আনার পাশাপাশি বার্গার, পেটিস, সসেজ ও নাগেটসের মতো পণ্যে ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানিয়েছে হালাল মিট প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের সদস্য বরাবর গত ২৭ মার্চ দেওয়া এক চিঠির সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।

 

সংগঠনটির সভাপতি এ এফ এম আসিফ সই করা চিঠিতে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তাদের এমন প্রস্তাব বিবেচনার অনুরোধ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্য যেমন-বার্গার পেটি, সসেজ, নাগেটস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংসজাতপণ্য সুনামের সহিত সরবরাহ করে আসছে। সম্ভাবনাময় নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্য। যার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান। এছাড়া উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে শীতলীকরণ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়। যার ফলে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পায়। তদুপরি অপ্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বাসা-বাড়িতে উৎপাদিত মাংসভিত্তিক কাস্টকৃত পণ্যে বাজার সয়লাব। যারা ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থা বজায় থাকার কারণে একদিকে যেমনি বাণিজ্যিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অপর দিকে সরকার বড় ধরনের রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় মূল্য সংযোজন করের হার সংকুচিত করে অপ্রাতিষ্ঠানিক (বাসা-বাড়িতে) উৎপাদিত মাংসভিত্তিক ফার্স্টফুড পণ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্যের মূল্যের সমন্বয় প্রয়োজন।

চিঠিতে আরো বলা হয়, যেহেতু প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড শিল্পটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তর ও অন্যতম যোগানদাতা, একই সঙ্গে ফাস্টফুড পণ্যগুলো রেস্টুরেন্ট পণ্যের সঙ্গে সামান্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক এই শিল্পটি প্রসার লাভ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে রেস্টুরেন্ট পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। যা উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাটের হারের সঙ্গে অসঙ্গতি সৃষ্টি করে।

 

এই শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম তাই সরকারের স্বদিচ্ছার ফলে এই শিল্প সামনে এগিয়ে যাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি। এই অবস্থায় করভার সহনীয় করে শিল্পের প্রসারের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয় চিঠিতে।