বই চুরির মামলায় শিক্ষক গ্রেফতার


MD Nuruzzaman প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২, ২০২৩, ১২:০৫ অপরাহ্ন /
বই চুরির মামলায় শিক্ষক গ্রেফতার

 

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
কুমড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্টু আলী
স্কুলের বই চুরি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কুমড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্টু আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কুমড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনছুর আলীর ছেলে।

অবৈধভাবে অফিসের তালা ভাঙা, বই চুরি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে মন্টু আলীকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোকছেদ আলী। সেই অভিযোগে তাকে রোববার রাতে আটক করে থানা পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাঠানো নতুন বই স্কুলের অফিসে সংরক্ষিত ছিল। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে সেই বই বিতরণের প্রস্তুতি ছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মন্টু আলীকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের বৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন মোকছেদ আলী। তিনি ছাড়া যদি অন্য কেউ অফিসকক্ষের তালা ভেঙে বই নিয়ে যান, সেটি আইন বহির্ভূত কাজ। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্টু আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী জিপির মতামত আমার পক্ষে রয়েছে। তাই আমি বই বিতরণ করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা ভুল ব্যাখ্যা করে মোকছেদ আলীকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি অবৈধ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবো।

মামলার বাদী মোকসেদ আলী বলেন, বৈধভাবে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মন্টু আলী তালা ভেঙে বই চুরি করেছেন, তাই সরকারি সম্পত্তি চুরি ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করায় থানায় মামলা করেছি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে ইতোপূর্বে মন্টু আলী ও মোকছেদ আলীর মধ্যে কয়েক দফায় বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা ও প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে হাইকোর্ট ও জজকোর্টে বর্তমানে মামলা বিচারাধীন।