দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও সিআইডি পুলিশের হাতে আটক হওয়া প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
রমনা থানার দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী আব্দুল মালেক মশিউর (৬১) এই মামলার বাদি। তার স্থায়ী ঠিকানা বরগুনার বেতাগী থানা এবং বর্তমান ঠিকানা গুলশান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনসারকে এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।
মামলায় বলা হয়েছে, বাদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আইনজীবী আব্দুল মালেক মশিউর জানান, স্বাধীনতা নিয়ে জনমনে ‘অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি’ তৈরি করার কারণে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার ২৯ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।