সারাদেশ

নুরনগরে সরকারি জায়গাগুলো দখল করে একের পর এক ভবন নির্মাণ, জানে না নায়েব

  প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২২ , ৪:১৬:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শ্যামনগর অফিসঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নে সরকারি খাল ভরাট করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে ভূমিদস্যুরা। ভুমি খেকোদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। এরই মধ্যে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তার নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি কাটাখালি গ্রামে কয়েকজন ব্যক্তি পাকা ভবন নির্মাণ করলেও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল ইসলাম কিছুই জানেন না বলে আজ সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভবন নির্মাণকারী এক শ্রমিক জানিয়েছেন, সরকারি খাল ভরাট করে জায়গায় দখল করে ঘর নির্মাণ করার সাহস পাচ্ছেন যারা, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন দেখে পাকা ঘরের কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকেন স্থানীয় ভুমি অফিসের লোকজন। এদিকে সরকারের নির্দেশনা মতে সাতক্ষীরার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মহোদয় মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্যার যেখানে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ সরকারি জায়গা ভুমিদস্যুরা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও কিছুই জানেন না নায়েব রেজাউল ইসলাম। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের নির্দেশনা মতে সরকারি যায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন অনেকেই, এমনই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে যদি তিনি নির্দেশ না দেন তাহলে কোন সাহসে একের পর এক সরকারি সম্পত্তির উপরে পাকা ঘর নির্মাণ করে সাধারণ মানুষ? ঘর নির্মাণ করেছেন এমনই এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আমি ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তার নিদর্শনায় ঘর নির্মাণ করছি। ঘুষ দিয়েছেন কত জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, সব কথা আপনাদের বললে হয়। এদিকে সাধারণ মানুষ বলছেন, সরকারের খালগুলো দখল করে নিলেও উপজেলার নুরনগর সহকারী ভুমি অফিসের লোকজন মোটা অংকের টাকা নিয়ে আর কিছুই বলেন না। জানা গেছে, উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের সরকারি সম্পত্তির উপরে বিভিন্ন সময়ে পাকা ঘর নির্মাণ করলেও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পকেটে মোটা অংকের টাকা চলে যায়। যার ফলে বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পত্তির উপর অবৈধ ভাবে দখল করে ঘর নির্মাণের সাহস পাচ্ছে ভূমিদস্যুরা। এই বিষয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি নীলাকাশ টুডেকে জানিয়েছেন আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।

আরও খবর: সারাদেশ