খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ৫


MD Nuruzzaman প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০২৩, ২:২৯ অপরাহ্ন /
খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ৫

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত ও ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে তাদের ওপরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

শনিবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর বিকেল ৪টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেছে বিএনপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।

 

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। খুলনা থানার সামনে দিয়ে একটি খন্ড মিছিল এই কর্মসূচিতে আসার সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশের হামলায় বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঈদের পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।

কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম নান্নুসহ দলের মহানগর ও জেলা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মিল্টন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক হোসেন ইস্তি ও রূপসা উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপির একটি প্রোগ্রাম ছিল। আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম যাতে শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপির দুটি দল দুই দিক থেকে আসে, স্লোগান দিতে থাকে। এদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ করে আমাদের ওপর ইটপাটকেল মারা শুরু করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়তে বাধ্য হই। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।