রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
কালিগঞ্জে রাজাকার আকবর আলী ও তার ছেলে মহিবুল্লাহ গ্রেপ্তার রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবি, আটক ২ প্রতিশোধ নিতে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা, তিন মাস পর রহস্য উদঘাটন প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে যা বললেন রিয়াজ চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু বিজিবির ওপর হামলা, গুলিতে যুবক নিহত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলম নিহত খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ৫ শ্যামনগরে মধুর পাশ দেওয়ার আগেই মধুর চাক উধাও! যশোরে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিককে নিয়ে শাহবাগে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি শ্যামনগর মেডিকেল সাইন্স ল্যাবের পরিচালক দূর্ঘটনার আহত ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা দেবরদের নির্যাতনে অবরুদ্ধ ভাবি, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ শ্যামনগরে হরিণের মাংসসহ ফাঁদ উদ্ধার, দুই জেলে আটক

হেলাল আকবর চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের পরিক্ষিত বন্ধু

রিপোর্টারের নাম
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২, ২:৩০ অপরাহ্ন

নীলাকাশ টুডেঃ চট্টগ্রাম রাজনৈতিক নেতাদের সুপরিচিত একটি নাম বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। চট্টগ্রাম যুবলীগসহ সাধারণ ছাত্র জনতার মুখে মুখে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের প্রশংসা। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, যুবলীগের হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর সংগঠনের দূঃসময় বিরোধী দল থাকার সময় মাঠে থেকে সংগঠনকে ধরে রেখেছিলেন। বর্তমানে সংগঠনের সু সময়ে কতিপয় কিছু নেতার হিংসা শিকার হন তিনি। চট্টগ্রামের বহু মানুষ হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর মহিউদ্দিন চৌধূরীর সংস্পর্শে থেকে চট্টগ্রামকে শুধু দিয়েই গেছেন। বাবর বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর জি-এস নির্বাচিত, ১৯৯৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য এবং ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর উপ-অর্থ সম্পাদক। ১৯৮৯ সালে যখন সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী সহ অন্যান্য সিনিয়ার নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক আন্দোলনে রাজপথ নেতৃত্ব দিয়ে গেছে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে জাতীয় নির্বাচনে সুক্ষ কাটচুপির মাধ্যমে বিএনপি – জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই চার দলীয় জোটের ক্যাডার সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর নির্যাতন, খুন, গুম, শুরু করলো সাথে সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি জায়গা দখল সহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে।

চট্টগ্রামে তৎকালীন বিএনপির মন্ত্রীর নেতাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে আতংকে পরিণত হয়েছিল, তখন বাবর এর নেতৃত্বে নন্দনকানন থেকে ছাত্রলীগ এর একটি অংশ নিটুল- ছুট্টুদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলো। বাববের বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনে সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল পুরো চট্টগ্রাম।

রাজনীতি করতে গিয়ে বাবর বিএনপি জামাত জোটের আমলে ৩৭ বার কারাবন্দী হন। তাছাড়া জেল থেকে মুক্তি পেয়েই আবার পরেরদিন সকালে গ্রেফতার করার ঘটনাও ঘটে। তবুও বাবর সংগঠনের হাল ছাড়েনি। বিএনপি জামাত জোট বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। বাবর কোন সময় বিএনপি জামাতের সাথে আতাঁত করেনি। চট্টগ্রামে শিবিরের দূর্গখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে জামাত শিবিরের শক্ত ঘাটি ভেঙ্গে দিয়ে শিবির সন্ত্রাসীদের বিতারিত করতে সক্ষম হয়ে এই হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ২১ বছর আওয়ামীলীগ বা তার অংগ সংগঠনের যে সব নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভাবে রাজপথে ছিলো তারা এমন কেউ কি আছেন? যিনি মামলা হামলার স্বীকার হয়ে জেল জুলুম সহ্য করেনি, আমি বলবো যারা ঐ সময় মামলা হামলার স্বীকার হয়নি তারা মায়ের বুকে ঘুমিয়েছে।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশমতো আমি নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। বিএনপি জামাত এর সাথে লিয়াঁজু করি নাই করবো না।


এই বিভাগের আরো খবর