সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন (৪০) নামে এক হাফেজকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত হাফেজ উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ( ১৬ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে। স্থানীয়রা জানায়, হাফেজী পড়তে গত ২ বছর আগে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয় উপজেলার চালিতাঘাটা গ্রামের ১২ বছর বয়সী এক ছেলে। মাদ্রাসায় অবস্থানকালে ওই ছাত্রকে দীর্ঘ ১ বছর যাবত জোর পূর্বক বলাৎকার করতো সাজ্জাত গত সোমবার রাতে মাদ্রাসার ভেতরে তাকে জোর করে বলৎকার করে ওই সাজ্জাদ। পরের দিন সকালে ওই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা- মাকে জানায়।
পরবর্তীতে মাদ্রসার ভেতরে বলাৎকারের বিষয় জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজিত জনতা ওই হাফেজকে আটক করে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জাফরুল আলমের কাছে বলাৎকারের বিষয়টি অকাপটে স্বীকার করে সাজ্জাদ। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সাজ্জাদ ও ভুক্তভোগী ছাত্রকে হেফাজতে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বলাৎকারের বিষয়টি তার কাছে স্বীকার করেন সাজ্জাদ হোসেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুলিশ বলৎকারকারী সাজ্জাদ ও ভুক্তভোগীকে থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।