জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া ও জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের ব্যানারে সংসদ সদস্যের নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে উভয়পক্ষের সমর্থকরা।
শুক্রবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার প্রস্তুতির সময় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে এমপি মমিন মন্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার জানান, ব্যানারে নাম না থাকার বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় অংশ নিই।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় তার লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান জানান, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।