রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
কালিগঞ্জে রাজাকার আকবর আলী ও তার ছেলে মহিবুল্লাহ গ্রেপ্তার রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবি, আটক ২ প্রতিশোধ নিতে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা, তিন মাস পর রহস্য উদঘাটন প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে যা বললেন রিয়াজ চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু বিজিবির ওপর হামলা, গুলিতে যুবক নিহত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলম নিহত খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ৫ শ্যামনগরে মধুর পাশ দেওয়ার আগেই মধুর চাক উধাও! যশোরে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিককে নিয়ে শাহবাগে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি শ্যামনগর মেডিকেল সাইন্স ল্যাবের পরিচালক দূর্ঘটনার আহত ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা দেবরদের নির্যাতনে অবরুদ্ধ ভাবি, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ শ্যামনগরে হরিণের মাংসসহ ফাঁদ উদ্ধার, দুই জেলে আটক

বড় দলের সঙ্গে জোটের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চায় জাতীয় পার্টি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী!

নীলাকাশ টুডেঃ
আপডেট শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩, ৩:২০ পূর্বাহ্ন

 

আইনি ধকল কাটিয়ে উঠে রাজনীতির মাঠে পুরোমাত্রায় সক্রিয় হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের শতভাগ সাফল্য অর্জনে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। বড় দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেদের একক ক্ষমতা ও শক্তির ওপরই ভরসা আপাতত জিএম কাদেরের। সেই অনুযায়ী নির্বাচনি রোডম্যাপও তৈরি করছেন তিনি।

বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় রজনীগন্ধায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পার্টির কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ-সদস্যদের যৌথ সভায় বিষয়টি স্পষ্ট করেই বলেছেন জিএম কাদের। মূলত আইনি ঝামেলা থেকে উত্তরণের পর তার সভাপতিত্বে এটাই ছিল জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সভা।

 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রার্থী বাছাই, সাংগঠনিক প্রস্তুতি, জেলা-উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আয়োজনসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। আলোচনা হয় দলটির আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও।

এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা আপাতত আগামী নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি এই মুহূর্তে এককভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঠিক করতে কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে বেশকিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাদের নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা এবং দলটির সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দলীয় কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এই আদেশ খারিজ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। সেটিও খারিজ হয়ে যায়।

এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ২৩ নভেম্বর ঢাকার জেলা জজ আদালতে আপিল আবেদন করেন জিএম কাদের। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। পরে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যান তিনি। ৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে নিু আদালতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আইনি বাধা কেটে যায়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, তিন মাসেরও বেশি সময় আইনি লড়াই শেষে দলীয় কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এখন অনেকটাই নির্ভার জিএম কাদের। পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে না পারায় দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ এবং হতাশা নেমে এসেছিল, তাও এখন আর নেই।

এদিকে দায়িত্ব পালনের বাধা কাটার পর প্রথম দিনই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন জিএম কাদের। পার্টিকে নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা-লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

 

জিএম কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের জন্য, এমনকি নির্র্বাচন কমিশনের জন্যও এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা বড় চ্যালেঞ্জ। হাতে যেহেতু সময় একদম কম, তাই বসে না থেকে এখন থেকেই পুরোদমে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।

নির্বাচনের আগে বড় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্পর্কে তিনি এ সময় বলেন, এটি সময় ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তখন দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কেউ চাচ্ছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আবার কেউ চাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমরা জাতীয় পার্টি প্রথম থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য যদি ভালো থাকে এবং সরকার যদি চায়, তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যও হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে তখন আমরা কী করব, তা সবাই বসে ঠিক করব।


এই বিভাগের আরো খবর