দিল্লি সংবাদদাতাঃ ভারতের উত্তর প্রদেশের এক গ্রামে নারীর পেটে তোয়ালে রেখে সিজার অপারেশন শেষ করেছেন এক ডাক্তার। ওই নারী সন্তান জন্মদানের জন্য ক্লিনিকে এসেছিলেন। এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের চিফ মেডিকেল অফিসার রাজেশ সিনঘাল।
তিনি জানান, নাজরানা সন্তান জন্মদানের জন্য ক্লিনিকে আসেন। এসময় ডাক্তার তার পেটে তোয়ালে রেখেই অপারেশন শেষ করেন।
সিনঘাল আরও বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছিল।
জানা যায়, চিকিৎসাকর্মীদের গাফিলতির কারণে নাজরানার পেটের ভিতরে তোয়ালেটি ফেলে রাখা হয়েছিল। তিনি পেটের মধ্যে প্রচণ্ড ব্যথার অভিযোগ জানালেও তাকে আরো ৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয় এবং বলা হয় বাইরে অনেক ঠাণ্ডার কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছে।
‘হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পরও যখন ব্যথা কমে না, তখন নাজরানার স্বামী শমশের আলী তাকে অন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন পেটের মধ্যে তোয়ালে ফেলে রাখার প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হয়। পরে আরেকটি অপারেশনের মাধ্যমে তোয়ালেটি বের করা হয়।’
এরপর শমশের আলী তার স্ত্রীর সাথে ঘটা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য চিফ মেডিকেল অফিসারের কাছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
সিনঘাল বলেন, আমি মিডিয়ায় রিপোর্ট দেখে ঘটনাটি জানতে পেরেছি এবং দায়িত্বশীল অফিসারকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব।
শমশের আলী কোনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও তদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চিফ মেডিকেল অফিসার।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, চিকিৎসা বিভাগের তদন্ত রিপোর্ট পেলে তারাও এ ব্যপারে তদন্ত করবেন।