রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
কালিগঞ্জে রাজাকার আকবর আলী ও তার ছেলে মহিবুল্লাহ গ্রেপ্তার রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবি, আটক ২ প্রতিশোধ নিতে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা, তিন মাস পর রহস্য উদঘাটন প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে যা বললেন রিয়াজ চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু বিজিবির ওপর হামলা, গুলিতে যুবক নিহত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলম নিহত খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ৫ শ্যামনগরে মধুর পাশ দেওয়ার আগেই মধুর চাক উধাও! যশোরে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিককে নিয়ে শাহবাগে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি শ্যামনগর মেডিকেল সাইন্স ল্যাবের পরিচালক দূর্ঘটনার আহত ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা দেবরদের নির্যাতনে অবরুদ্ধ ভাবি, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ শ্যামনগরে হরিণের মাংসসহ ফাঁদ উদ্ধার, দুই জেলে আটক

খুলনায় আজও চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরত

নীলাকাশ টুডেঃ
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩, ৩:২৯ পূর্বাহ্ন

 

চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো খুলনার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে কর্মবিরতি চলছে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত টানা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখা।

বুধবার (১ মার্চ) রাতে নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের বিএমএ ভবনে জরুরি সভা শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। এদিন সকাল ৬টা থেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হয়। যা বৃহস্পতিবারও চলমান রয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। তবে চালু রয়েছে জরুরি বিভাগ।

 

বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ভাঙচুর চালান তারা। তার মেয়ের এক মাস আগে করা অপারেশনের জটিলতার কথা বলে তারা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় ডা. নিশাত বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত নাঈমের স্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই নারী হয়রানির শিকার হওয়া মাত্র আইনের আশ্রয় নিতে পারত। কিন্তু সে তা নেয়নি। আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিএমএতে এসে মাফ চেয়েছে। তখন তারা এই সব কথা বলেনি। এখন হঠাৎ করে এসব কথা বলার অর্থ হচ্ছে বিএমএর আন্দোলনকে বিতর্কিত করা। আমরা অপারেশন করার সময়ে একজন অধ্যাপককে মারপিটের ঘটনার বিষয়টির প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। এই ঘটনার সঙ্গে ওই নারীর মামলার কোনো সম্পর্ক নেই।

 

তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার ডা. নিশাত বাদী হয়ে এএসআই নাঈমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। অপর দিকে শ্লীলতাহানি ও শিশুর অঙ্গহানি করার অভিযোগ তুলে ডা. নিশাতসহ ২ জনের বিরুদ্ধে একই থানায় মামলা করেন পুলিশের এএসআই শেখ নাঈমের স্ত্রী নুসরাত আরা ময়না।


এই বিভাগের আরো খবর